ব্লকচেইন পরিচিতি

২০০৮ সনে সাতোশি নাকামতো নামক একজন রহস্যময় ব্যক্তি একটা মেইলিং লিস্টে নয় পৃষ্ঠার একটা পেপার প্রকাশ করে যার শিরোনাম ছিল Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System। ২০০৯ সনের জানুয়ারিতে একই ব্যক্তি তার পেপারে উল্লেখ করা কারেন্সি ট্রান্সেকশন প্রোটকলটা ইম্প্লিমেন্ট করে চালু করে। এর পরের ঘটনাগুলো রূপকথার মত। পৃথিবী কোন দিন নাকামতোর পরিচয় জানতে পারে নি। নাকামাতো কোন একক ব্যক্তি নাকি একটা দল ছিল, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে যে বিষয়টা সবাইকে চমকে দিয়েছিল তা হলো নাকামতোর দিয়ে যাওয়া বিটকয়েন প্রোটোকল। এই প্রোটোকলের হাত ধরে একটা সম্পূর্ণ নতুন দিগন্ত যেন উন্মক্ত হয় সবার সামনে যাকে আমরা ব্লকচেইন প্রযুক্তি বলে জানি।

অল্প কয়েক বছরের মধ্যে যেভাবে হঠাৎ এসেছিল, সেভাবেই একদিন নাকামতো নিজেকে সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে হারিয়ে যায়। কিন্তু ততদিনে বিটকয়েন এবং ব্লকচেইন নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে অনেকে যারা নিয়মিত আলোচনা এবং গবেষণা করতে থাকে এই প্রযুক্তি নিয়ে। পাশাপাশি দ্রুত আসতে থাকে বিটকয়েনের মত নতুন নতুন আরো ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় বিটকয়েন হচ্ছে প্রথম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রিপ্টোকারেন্সি। কিন্তু অন্যরাও পিছিয়ে নেই। ফলে নতুন নতুন সমস্যার সমাধানে তৈরি হয়েছে নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং তাদের অভ্যন্তরীণ ব্লকচেইন। এমন কি এটাও নিয়মিত দেখা যাচ্ছে সমস্যা সমাধানে ক্রিপ্টোকারেন্সির ধারনাটাকে সরিয়ে রেখে শুধু ব্লকচেইন ভিত্তিক কাজ হতে শুরু করেছে ব্যাপক ভাবে।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, কী এই বিটকয়েন এবং ব্লকচেইন? নিঃসন্দেহে আগামীর পৃথিবীতে এ প্রযুক্তির বিশাল ভূমিকা থাকবে। এটা এখন আর আলোচনার বিষয় নয় যে এ প্রযুক্তি টিকে থাকবে কিনা। বরং আলোচনা হচ্ছে এ বিষয়ে যে এই প্রযুক্তির সামনে চলমান ব্যবস্থাগুলো টিকে থাকতে পারবে কিনা কিম্বা তারা এ প্রযুক্তির সাথে সহ অবস্থানে এসে নিজেদের কীভাবে আরো উন্নত করবে।

নিয়াজ ডট ইউকে-এর পক্ষ থেকে ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয় একাধিক সেমিনার এবং কোর্স আয়জনের পরিকল্পনা রয়েছে। যারা সেমিনার এবং কোর্স সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তারা নিচের লিঙ্ক ব্যবহার করে আমাদের সাথে ইমেইল শেয়ার করে যুক্ত থাকতে পারবেন।

এই লিঙ্কে ক্লিক করে ইমেইল এ্যাড্রেস শেয়ার করুন। (নতুন ট্যাবে লিঙ্ক খুলবে)

error: Content is protected !!