সেপ্টেম্বর ২০২২ ইনটেকে ইউকে আসার জন্যে ভিসার আবেদন করেছে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশ থেকে। সেই আবেদনের জোয়ারের একটা ধাক্কা অনুভব করছি আমার ফেইসবুকের ইনবক্সেও। প্রতিদিন মূল এবং স্প্যাম ইনবক্সে অসংখ্য ম্যাসেজ আসছে এই বলে যে ‘আমি কি ভিসা পাবো?’। আমাদের BSA-UK/IRL গ্রুপে, UK Higher Education এর ইনবক্সে, আমি কোথাও কমেন্ট করলে সেখানে— সব জায়গায় এই প্রশ্নটা করে সবাই। সাথে মোটামোটি ৮০ শতাংশই যোগ করে ‘আর্জেন্ট’ কথাটা আর ১০০% যোগ করে ‘ভাই খুবই চিন্তায় আছি’ কথাটা।
শুরুতেই একটা কথা বলি— কেউ ভিসা পাবে কি পাবে না সেটা নিশ্চিত করে একমাত্র UKVI (ইউকের ভিসা এবং ইমিগ্রেশন অথরিটি যারা ভিসা ইস্যু্ করে) বলতে পারবে অথবা আরো বিশেষ ভাবে যে কেইস অফিসার ফাইলটা দেখছেন, তিনি বলতে পারবেন। দুনিয়ার আর কেউ ১০০% নিশ্চয়াতার সাথে এ তথ্য দিতে পারবে না। তবুও এ প্রশ্নটা আমাকে করা হলে আমি কেবল কিছু সম্ভাব্য তথ্য দিতে পারি। আমার এ লেখার কোন কিছুই নিশ্চিত ধরে নেয়াটা বোকামী হবে। আরেকটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, এ লেখায় ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট’ কথাটা আমি একাধিক বার ব্যবহার করেছি। এই প্রেক্ষাপট বলতে আমি অগাস্ট/সেপ্টেম্বর/অক্টোবর ২০২২ কে বুঝিয়েছি। আর এই লেখায় আমি প্রচুর লিঙ্ক ব্যবহার করেছি। সেখানে ক্লিক করলে আপনি এই লেখা থেকে সরে যাবেন না বরং লিঙ্কগুলো নতুন ট্যাবে খুলবে।
এবার একটু উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। আমি যে তথ্য এখানে দেব তাতে যারা ‘চিন্তিত’ তাদের চিন্তা দূর হবে কিনা জানি না। আর যারা ‘আর্জেন্ট’ শব্দটা ব্যবহার করেন ম্যাসেজ পাঠাতে তাদের জন্যে সম্ভবত এই তথ্যগুলো কোন মূল্যই রাখবে না কারণ যে জানেই না কোথায় ‘আর্জেন্ট’ শব্দটা ব্যবহার করতে হয়, সে নিশ্চিত ভাবেই প্যানিকড হয়ে আছে। আর প্যানিকড মানুষ কখনও কিছু কানে ঢোকায় না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি তাদের একটা উত্তর দিলে তারা আরেকটা সম্পূরক প্রশ্ন করে, তারপর আরেকটা। এভাবে চলতে থাকে যতক্ষণ না খারাপ ব্যবহার করি। তারপর এক সময় চুপ হয়। এরকম অনেক প্যানিকড মানুষের সাথে আমার ইনবক্সে কথা হয়েছে যারা খুব স্বাভাবিক ভাবে স্বাভাবিক সময়ে ভিসা পেয়েছে। কিন্তু ভিসা পাবার সময়ের ঐ ১৫-২০ দিন প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে ম্যাসেজ পাঠিয়ে (রীতিমত ফেইসবুকে ২৪/৭ বসে থাকে এরা) আমার ইনবক্সের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে, সাথে আমার মেজাজও। যিনি এই লেখাটা এখন পড়ছেন, তিনি যদি ঐ ক্যাটাগরির মানুষ হন তাহলে নিচের দুইটা লিঙ্কে আগে ভিজিট করে নেবেন:
How to deal with panic attacks (সিরিয়াসলি, পড়লে ভালো বোধ করবেন)
NHS Inform হচ্ছে NHS তথা ইউকের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের একটা সেবা। এটা চালু করেছে স্কটল্যান্ড যা তাদের ন্যাশনাল হেলথ ইনফরমেশন সার্ভিস হিসেবে কাজ করছে। এখানে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার তথ্য রয়েছে যা বেশ কার্যকর।
10 stress busters (এটাও বেশ ভালো একটা আর্টিকেল)
এই লেখাটা NHS ইংল্যান্ডের। এদের সাইটটা ইংল্যান্ডে যারা বসবাস করেন তাদের জন্যে প্রথম চিকিৎসা পরামর্শ নেয়ার অফিশিয়াল সাইট। শুধু স্ট্রেসই নয়, অন্য যে কোন রোগ অথবা শারীরিক সমস্যার জন্যে এখনে যাবেন প্রথমেই। অনেকগুলো টাকা IHS ফিস পে করে ভিসার জন্যে আবেদন করে স্টুডেন্টরা। NHS এর সেবা ভিসা হবার আগে থেকেই তাই নেয়া উচিত!
এবার চলে আসি মূল আলোচনায়। তবে যারা প্রচন্ড টেনশনে আছেন এবং উপরের দুইটা লিঙ্কের একটাতেও ক্লিক না করে এই লেখাটা এখনও পড়ছেন, তারা নিশ্চিত ভাবেই প্যানিকড। আবারো বলছি, উপরের লিঙ্ক দুইটা পড়ে তারপর নিচের অংশ দেখুন!
‘আমি কি ভিসা পাবো’ প্রশ্নটা করার আগে প্রথমেই যে বিষয়টা জেনে নেয়া দরকার তা হচ্ছে ভিসার আবেদন করার পরে কত দিন সময় গিয়েছে। প্রত্যেকটা ভিসা ক্যাটাগরির জন্যে UKVI একটা ‘ভিসা ডিসিশন ওয়েটিং টাইম’ বলে সময় বেধে দিয়েছে। এই সময়ের আগে খুব কম ভিসা হয় যা খুবই বিরল ঘটনা। তাই এই সময় পর্যন্ত অন্তত অপেক্ষা করাটা জরুরী। তবে এই সময় পার হয়ে গেলেই যে চিন্তিত হয়ে উঠতে হবে, এমনটাও নয়। এটা একটা ‘সম্ভাব্য সময়’ যার মধ্যে ভিসা হয়ে যায় সাধারণত। তবে অনেক সময় সাথে আরো ৫ থেকে ১০ দিন অতিরিক্ত বিভিন্ন কারণে যোগ হয়। ফলে এই সম্ভব্য সময়ের সাথে আরো ১০ দিন যোগ করে নিলে মোটামোটি ৯৫% ভিসায় হয়ে যায়। এর পরও যে ৫% হয় না, তাদের খারাপ ইমিগ্রেশন হিস্ট্রি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যা পরে বিস্তারিত বলছি। এখানে আরেকটা বিষয় উল্লেখ করবো, তা হলো এই সম্ভব্য সময় স্টুডেন্ট ভিসার জন্যে ১৫ ওয়ার্কিং ডে যা সাধারণত ২১ দিনের মত হয়। তবে সেই সময়টা মাঝে মাঝে বেড়ে যায়। এজন্যে UKVI এর নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নেয়া উত্তম যে এই মুহূর্তে ভিসা হতে কত সময় লাগবে বলে UKVI জানিয়েছে।
ভিসা ডিসিশন ওয়েটিং টাইম (সকল ভিসার ওয়েটিং টাইম এই লিঙ্কে রয়েছে)
এখন কারো জন্যে যদি ঐ ১৫ ওয়ার্কিং ডে অথবা ২১ দিন পার হয়ে যায় তাহলে কি টেনশন করা শুরু করবে? মোটেও না। সাথে আরো ৫ থেকে ১০ দিন যোগ করে নিন। যদি কোন স্টুডেন্টের খারাপ ইমিগ্রেশন হিস্ট্রি না থাকে, সে সত্যিই পড়ালেখা করতে ইউকে আসতে চায় এবং সব সাপোর্টিং ডকুমেন্ট এ্যাপ্লিকেশনের সাথে জমা দেয়া হয় তাহলে ঐ অতিরিক্ত ১০ দিনের মধ্যে ডিসিশন চলে আসবে।
আর যে ৫ শতাংশের কথা বললাম যাদের ভিসা পেতে অনেক সময় লাগছে তারা মূলত এরকম স্টুডেন্ট যার উদ্দেশ্য কোনক্রমে ইউকে এসে ১০ বছর থেকে স্যাটেল হওয়া। কেউ কেউ এই উদ্দেশ্যেও আসে যে ইউকে ঢুকে অবৈধ হয়ে যাবে অথবা ইউরোপের অন্য কোন দেশে চলে যাবে। এই স্টুডেন্টরা সাধারণ প্রি-মাস্টার্স এবং ফাউন্ডেশনে আসে। এ ধরনের স্টুডেন্টদের একটা বড় অংশই ইংরেজিতে খুব খারাপ। চার থেকে সাড়ে চার স্কোর করে IELTS এ। এদেরকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করার জন্যে UKVI IELTS এর জন্ম হয়েছে (এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে একদিন লিখবো)। BSA-UK/IRL গ্রুপটা আমরা ১০ বছরের উপরে চালাচ্ছি। এই গ্রুপে আমি কোন দিনও IELTS এ ৭ বা তার উপরে পেয়েছে কিন্তু জেনুইন স্টুডেন্ট না এই কারণ দেখিয়ে ভিসা রিজেক্ট করেছে এরকম কেইস দেখি নি। তাই ইংরেজির দূর্বলাতা কখনও কখনও ডিসিশন আসতে দেরী করতে পারে (তবে সব সময় নয় এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেটা হচ্ছে না বললেই বলা যায়)।
সব ডকুমেন্ট ঠিক মত দেয়ার পরও আরেক ধরনের মানুষের ভিসার ডিসিশন দেরীতে আসতে পারে। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে তারা যারা ভিসায় তথ্য গোপন করে অথবা ইচ্ছে করে ভুল তথ্য দেয়। ভিসায় একটা প্রশ্ন থাকে যে আপনার কোন আত্মিয় ইউকেতে থাকে কিনা। এই ‘আত্মিয়’ বলতে বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে অথবা হাজবেন্ড/ওয়াইফকে বোঝায়। এর বাহিরে মামা, খালা, চাচা, ফুপু ইত্যাদি সম্পর্কের কেউ আছে কিনা সেটা বলা জরুরী নয়। না বললে সমস্যাও নেই। কিন্তু যাদের কথা বলা আছে তারা যদি ইউকে থেকে থাকে তাহলে সেটা ধরে ফেলা খুব সহজ। কিছুদিন আগে আমি একটা চমকপ্রদ রিজেকশন লেটার পড়েছি। এ্যাপ্লিকেন্ট আবেদনের সময় বলেছিল ইউকেতে তার কেউ থাকে না কিন্তু তিনি একটা বিশেষ শহরকে টার্গেট করে বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়েছে এবং একটা বাসা ভাড়া করে থাকবে বলেছে। কেইস অফিসার শার্লক হোমস হয়ে খুঁজে বের করেছে ঐ ব্যক্তির ভাই ইউকে থাকে। এক্ষেত্রে সে তাদের দুইজনের বাবা-মা এর নাম এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে দুই ভাইয়ের সম্পর্ক সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তারপর তার ভাইয়ের, ভাবীর এবং তাদের ইউকেতে হওয়া মেয়ের নামও রিজেকশন লেটারে উল্লেখ করে দিয়েছে! রিজেকশনের কারণ হিসেবে দেখিয়ে এ্যাপ্লিকেন্ট তার ভাই-ভাবীর সাথে থাকার জন্যে ঐ শহরকে বেছে নিয়েছে এবং আত্মিয় থাকার পরও সে সেটা জানায় নি। এখানে একটা বিষয় কিন্তু বিশেষ ভাবে লক্ষ্যনীয়— যদিও UKVI আত্মিয়র মধ্যে ভাই-বোন তথা সিবলিং-এর কথা বলে নি (ফর্ম ফিলাপের সময় দেখে থাকবেন আপনারা) কিন্তু কেইস অফিসার এটা ধরেই ভিসা রিজেক্ট করেছে। যে কারণে এ উদাহরণটা দিলাম তা হচ্ছে কোন কোন কেইস অফিসার এরকম অতিরিক্ত আগ্রহী হয়ে উঠলে এবং তথ্য বের করা শুরু করলে সেটা দ্রুত ডিসিশন আসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য। আমি তিন বছর গ্লাসগোর ইমিগ্রেশন ট্রাইবুনাল, ইমিগ্রেশন সলিসিটর এবং UKVI এর হয়ে ইন্টারপ্রেটারের কাজ করেছি। সেখানে দেখেছি UKVI এর একেকজন অফিসার যদি চায় কতটা গভীরে গিয়ে কথা সংগ্রহ করতে পারে। তাই যদি তেমনটা হয় তাহলে দুর্ভাগ্যই বলতে হবে এবং ডিসিশন আসতে দেরী হবে।
‘আমি কি ভিসা পাবো’ প্রশ্নটার কিছু রকমভেদও রয়েছে। কেউ কেউ আবেদন করার পরে UKVI মাঝে মাঝে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট চায়। তখন চিন্তিত হওয়াটা স্বাভাবিক এবং ‘আমি কি ভিসা পাবো’ প্রশ্নটা করা যৌক্তিক। তবে এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট যা চাওয়া হয়েছে সেটা যদি ঠিক মত জমা দেয়া হয় তাহলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভিসা হয়ে যাবার সম্ভানা খুব বেশি। যদি না সাবমিট করা ডকুমেন্ট ফেইক হয় এবং সেটা থেকে আরো কোন ইনভেস্টিগেশনের সূত্রপাত হয়, দিন দশেকের মধ্যে ভিসা হয়ে যাচ্ছে সবার।
এখন ভিসার জন্যে এত চাপ যে UKVI তেমন একটা ইন্টারভিউ নিচ্ছে না এবং কোন ডকুমেন্টে ঘাটতি থাকলে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট চেয়ে এবং সেটা পেলে ভিসা দিয়ে দিচ্ছে। অথচ এক বছর আগেই এই অতিরিক্ত ডকুমেন্টের কিছু কিছু না পেলে সরাসরি রিজেক্ট করে দিত। আমাদের গ্রুপেই একজন সম্প্রতি জানিয়েছে তার ডিপেন্ডেন্ট ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সাবমিট করে নি। UKVI এখন সেটা চেয়েছে। অথচ বছর খানেক আগে হলে এটা সরাসরি রিজেকশনের কারণ হয়ে যেতো। শুধু হাজবেন্ড-ওয়াইফের ছবি দেয় নি এই কারণে আমি ২০২০ এ অনেকগুলো রিজেকশন দেখেছি। এখন কিন্তু তেমনটা আর দেখা যায় না।
যাইহোক, ‘আমি কি ভিসা পাবো’ এর আরেকটা রকমভেদ তৈরি হয়েছে যেখানে কিছু মানুষ যাদের কাছে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট চায় নি তারা ‘অতিরিক্ত’ চিন্তিত হয়ে প্রশ্ন করে ‘ভাই আমার কাছে চায় নি, এখন কি আমি ভিসা পাবো?’। এই প্রশ্নটা শুনলেই এখন আমার এদের আন্দামান দ্বীপে পাঠিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। যিনি এই লেখা পড়ছেন তার সাথে যদি ঘটনাটা মিলে যায় তাহলে উপরের স্ট্রেস এবং প্যানিক এ্যাটাকের আর্টিকেল দুটো পড়তে অনুরোধ করবো।
উপরে আলোচনা করা সব ধরনের ক্যাটাগরির বাহিরেও আরো দুইটা রকমভেদ আছে। প্রথমটা হলো, ‘ওমকু দিন আবেদন করেছি এখনও কোন ডিসিশন এলো না।’ উপরে উল্লেখ করেছি কত সময় লাগতে পারে। পাশাপাশি মূল সময়ের সাথে ৫ থেকে ১০ দিন অতিরিক্ত যোগ করে নিয়ে তারপর দেখুন ডিসিশন এলো কিনা। ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে এ বছর শুরুর দিকে ভিসা হতে ৩৫ থেকে ৪৫ দিনও সময় লেগেছে। অতএব সময় কত লাগতে পারে সেটা উপরে শেয়ার করা লিঙ্ক থেকেও দেখে নিতে ভুলবেন না যেন।
দ্বিতীয় রকমভেদটা হচ্ছে, ‘ওমুক দিন এক সাথে এ্যাপ্লাই করেছি। ওরটা হয়ে গেলো কিন্তু আমারটা হয় নি। আমি কি ভিসা পাবো?’ এ ক্ষেত্রে একটা তথ্য দিচ্ছি। একই দিনে আবেদন করা মানেই আপনি আর সেই মানুষটা একই কেইস অফিসারের হাতে পড়ছেন, এমনটা কিন্তু না। সারা দুনিয়া থেকে হাজার হাজার আবেদন পড়ে প্রতিদিন। সেই আবেদন ব্যাচে ব্যাচে বিভিন্ন দলের কাছে দিয়ে দেয় UKVI। তারপর সেই দলগুলো তাদের সুবিধামত সেগুলো প্রসেস করে। আবার সব এ্যাপ্লিকেন্টও কিন্তু এক নয়। কারো সমস্যা থাকে, কারো বিষয়ে কেইস অফিসারের সন্দেহ থাকে, কারো কেইস খুব স্ট্রেইটফরোয়ার্ড হয়। তো, ডিসিশন আগে-পরে আসবে, এটাই স্বাভাবিক।
তাহলে করণীয় কী? ১৫ কর্মদিবস (সাধারণ ২১ দিন) হয়ে গেলে একটা পেইড ইমেইল করতে পারেন। অনেক সময় এতে কাজ হতো। পেইড ইমেইল করার পরে ওরা দ্রুত ডিসিশন দিত। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা কাজ করছে না। এ বছর এই পরামর্শ যাদের দিয়েছি, তাদের একজনও দ্রুত ডিসিশন পায় নি অথবা যারা পেয়েছে তাদের আগেই ডিসিশন হয়ে গিয়েছে। বরং যাদের ডিসিশন হয় নি তখনও, তাদের বলেছে অপেক্ষা করতে। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে ঐ অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করা। তারপর চাইলে পেইড মেইল করতে পারেন। তবে ডিসিশন যখন আসার তখনই আসবে। সেটা খুব একটা পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। গত বছর আমি BSA-UK/IRL এবং UK Higher Education থেকে যে ইউকে এ্যাডমিশন মেন্টরশিপ প্রোগ্রামটা চালাচ্ছি সেখান থেকে একজনের জন্যে একটু চাপ দিচ্ছিলাম UKVI কে ডিসিশন দ্রুত দিতে। তখন তারা অসন্তুষ্ট হয়ে আমাদের বলেছিল আর যেন মেইল না করা হয়! সেজন্যে সব সময় বারবার নক করাটাও খুব একটা ভালো কাজ নয় বলেই আমার মনে হয়। বরং একটু অপেক্ষা করা ভালো। আশা করি ডিসিশন চলে আসবে।
‘আমার কি ভিসা হবে’ — প্রশ্নটা যদি এখনও কোন পাঠকের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে তাহলে আপনাকে শান্তি দেয়া কারো সাধ্যে নেই। ভিসা হবার আগ পর্যন্ত এই প্যানিক এ্যাটাক চলতেই থাকবে। শুধু ‘শুভ কামনা রইলো’— এতটুকুই বলতে পারি আপনার জন্যে।
এ ধরনের লেখা নিয়মিত পেতে আমাকে ফেইসবুকে অনুসরণ করতে পারেন এখানে ক্লিক করে।
পোস্টটি মোট পড়া হয়েছে 2559 বার।
UK Higher Education এবং BSA-UK/IRL গ্রুপ থেকে আমরা একটা জনপ্রিয় মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালাচ্ছি গত দুই বছর (এ প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে দেখুন) যা সদস্যদের জন্যে ‘ফ্রি’। এখানে আমরা এ্যাপ্লিকেন্টদের ‘মেন্টরিং’ করি। অন্য আর দশটা এ্যাজেন্সি অথবা কনসালটেন্সির সাথে মেন্টরিং এর পার্থক্য হচ্ছে এখানে আমরা এ্যাপ্লিকেন্টদের সাথে কথা বলে তাদের ক্যারিয়ার, লক্ষ্য, সামর্থ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা আলোচনা করে কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সাজেশন দিয়ে থাকি। শুধু তাই নয়, সেই সাজেশন অনুসরণ করে তাদের সিভি তৈরি করা, পার্সোনাল স্টেটমেন্ট/স্টেটমেন্ট অভ পারপাস লেখানো এবং রিভিউ করা, রেকমেন্ডেশন লেটার সংগ্রহ করা সহ এ ধরনের কাজগুলোতে প্রত্যক্ষ সাহায্য করে থাকি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে অফার আনা, ক্যাস ইন্টারভিউর জন্যে প্রস্তুত করা ও ক্যাসের জন্যে আবেদন করা এবং ডিপেন্ডেন্ট সহ ভিসার আবেদনে সাহায্য করাও এই প্রোগ্রামের অংশ। মেন্টরশিপের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা ‘স্টুডেন্ট সেন্ট্রিক’। একজন এ্যাপ্লিকেন্টকে সামনে রেখে তার জন্যে যেটা ভালো, আমরা সেটা সাজেস্ট করার চেষ্টা করি।
Brother I have applied for students visa, but in my application it is said that I have a relative in Uk, will there be any problem for this?
Brother, I have applied for students visa
But in my application It is said that I have a relative in uk, will there be any problem for this?
Khub shundor kore explain koresen bai
Best mentorship